সাবধান, খালি পেটে যে তিনটি কাজ কখনো করবেন না

জানেন কি ক্ষুধা পেটে বা খালি পেটে কিছু কাজ করা একদম ঠিক নয়? না হলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। যেমন ধরুন, সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে চা-কফি পান করা একদম ঠিক নয়। খালি পেটে এগুলো পান করলে এসিডিটির সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া আরো কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো খালি পেটে করা ভালো নয়।

এক – প্রদাহরোধী ওষুধ গ্রহণঃ
খালি পেটে কখনো প্রদাহরোধী ওষুধ খাবেন না। এতে গ্যাস হতে পারে। এ ছাড়া এতে ওষুধের কার্যকারিতাও অনেক কমে যায়।
দুই – চুইংগাম চিবানোঃ
চুইংগাম চিবালে ডাইজেস্টিভ এসিড তৈরি হয়। খালি পেটে চুইংগাম চিবানো পাকস্থলীর দেয়ালে সমস্যা করে। এতে গ্যাসট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
তিন – রাতে না খেয়ে ঘুমানোঃ

ক্ষুধা লাগলে এবং শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা কম থাকলে ঘুমের অসুবিধা হয়। কম ঘুম আবার ক্ষুধা তৈরির হরমোনকে বাড়িয়ে দেয়। তাই রাতে একটু কিছু খেয়ে ঘুমান।
খালি পেটে কিসমিস ভেজানো পানি খাওয়ার উপকারিতাঃ
পায়েস কিংবা পোলাও- কয়েকটি কিসমিস তাতে দিলে, স্বাদ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কিন্তু শুধু কিসমিসের কত গুণ, তা অনেকেরই অজানা। রোজ এক কাপ করে কিসমিস ভেজানো পানি খেলে পাওয়া যায় বিশেষ উপকারিতা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এমনই জানা গিয়েছে।

জেনে নিন কী কী ফল পাবেন কিসমিস ভেজানো পানি খেলে—
• কিসমিসে থাকে পটাশিয়াম, যা হার্টকে ভাল রাখে এবং খারাপ কোলেস্টরল দূর করতে সাহায্য করে।
• এতে রয়েছে আয়রন। যা রক্তাল্পতা কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
• কিসমিসে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা শক্তি জোগায়। মহিলারাই বিশেষত রক্তাল্পতায় ভোগেন, তাই চিকিৎসকরা বলেন কিসমিস খাওয়া মহিলাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ উপকারী।
• এছাড়াও নিয়মিত কিসমিস খেলে বা কিসমিস ভেজানো জল খেলে লিভারও ভাল থাকে। যাঁরা প্রায়শই পেটের গন্ডগোলে ভোগেন তাঁদের জন্য এই পানি বিশেষ উপকারী।

• কিসমিস ভেজানো পানি খেলে শরীরে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার ফলে রক্ত পরিশোধিত হয়।
• কিসমিস ভেজানো পানি খেলে লিভারের পাশাপাশি কিডনিও খুব ভাল থাকে। আর কিডনি ও লিভার দুটো ভাল থাকলে হজমও ভালভাবে হয়।
কীভাবে বানাবেন কিসমিস ভেজানো পানি ?

২ কাপ জলে ১৫০ গ্রাম কিসমিস ভিজিয়ে রাখতে হবে সারা রাত। গাঢ় রংয়ের কিসমিস বেশি উপকারী। কিসমিসগুলি ভালভাবে ধুয়ে, সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন।
পরেরদিন সকালে কিসমিস ছেঁকে নিয়ে সেই জল হালকা গরম করে খালি পেটে খেয়ে নিন। এর পরে আধ ঘণ্টা আর অন্য কিছু খাবেন না। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এই জল খেলে সুস্থ থাকবেন।